ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্টা করেন। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র জনগণের দোড়গোড়ায় তথ্য ও সেবা পৌছে দেয়ার অন্যতম মাধ্যম হিসাবে কাজ করছে। গ্রামের সুবিধা বঞ্চিত মানুষ তথ্য ও প্রযুক্তি সেবা থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তাই এই তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে যাতে মানুষ তথ্য ও সেবা গুলো পেতে পারে সে জন্য ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা । আজ মানুষ অনেক উন্নত সেবা পাচ্ছে তথ্য ও সেবা কেন্দ্র থেকে। পারছে ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন তথ্য, ইমেইল করা, সরকারী ফরম, সুদূর বিদেশে থাকা ছেলের সাথে স্কাইপের মাধ্যমে মার কথা বলা ছেলের মুখটা দেখার পর মার মনে যে আবেগ অনূভূতি গুলো ছেলে দেখতে পাচ্ছে । অতি সহজেই মানুষ তার সমস্যার সমাধান পাচ্ছে তথ্য ও সেবা কেন্দ্র থেকে। গ্রামের মানুষের কৃষি সমস্যার জন্য সদরে যেতে হয় ,ডাক্তারি পরামর্শের জন্য অনেক মাইল দুরে যেতে হতো, মৎস সমস্যার জন্য অনেক কষ্ট করতে হতো ঠিক মতো তথ্য পাওয়া যেত না । কিন্তু এখন ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে তা অতি সহজেই জানতে পারছে। মানুষ এখন আর গ্রামের কোন প্রভাবশালী বা মোড়ল এর কাছে যায়না কোন তথ্য জানতে। গ্রামের মানুষ কেবল প্রতারিতই হতনা অনেক ভুল তথ্য পেত তাদের কাছ থেকে এতে করে তাদের অনেক সমস্যায় পরতে হতো। কিন্তু এখন অনায়াসে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে আসে। কেননা ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র গ্রামের মানুষের দাড়ে দাড়ে তথ্য ও প্রযুক্তির ছোয়া লাগিয়ে দিয়েছে। আজ ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের অনেক সুনাম অনেক মর্যাদা কেবল সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য। সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কাছে তথ্য ও প্রযুক্তি পৌছে দেয়ার সুবাধে মানুষ আজ কোন কাজের জন্য বিভ্রান্তিতে পরে না। একটি পাসপোর্ট ,একটি চিঠি, একটি ছবি পাঠাতে আর ডাকঘরে যায় না । ইমেইল এর মাধ্যমে কয়েক মিনিটেই পৌছাতে পারে তার নাতির ছবিটি তার ছেলের কাছে, পারে তার জুরুরী পাসপোর্ট এর কপি টা দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে,পারে প্রিয় মানুষটির কাছে চিঠি পাঠাতে অনায়াসে। আর এ জন্য যার ভূমিকা অপরিসীম তা হল ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র অথ্য ও সেবা কেন্দ্র আজ নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারী নির্যাতন, বাল্য বিবাহ রোধ, আর অনেক সংস্থার সাথে জড়িত যাহার দরুন গ্রামের মানুষ অনেক অন্যয় কাজ সর্ম্পকে জানতে পারছে, সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র আজ অনেক পথ ভ্রষ্ট মানুষকে পথ দেখিয়েছে উদাহারণস্বরুপ বলা যায় দেশের অনেক বেকার যুবকের মালোয়েশিয়া যাবার কথা। অনেক সমস্যার সমাধান দিয়েছে । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে চ্যালেঞ্জ তা বাস্তবায়নের অন্যতম হাতিয়া হলো ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র । সরকারের এই চ্যালেঞ্জ আমরা অনেকটাই পূরন করতে পেরেছি এবং পারবো বলে আশাবাদি । একটা কথা না বললেই নয় যে, মালয়েশিয়ার কর্মী প্রেরণ করা জন্য অনলাইন রেজিষ্টেশন এর কাজ নিয়ে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয় ।কে করবে রেজিষ্টেশন কার দ্বারা করা হবে এই নিয়ে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তখন সরকার চ্যালেঞ্জ স্বরুপ আমাদের কে এই দ্বায়িত্ব দেয়। যাতে গ্রামের মানুষ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়। যাতে দালালের হাতে প্রতারিত না হয়। আমরা সরকারের এই চ্যালেঞ্জ কে আমাদের চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করি এবং সফলতার সাথে রেজিষ্টেশন কাজ সম্পন্ন করি। আমাদের ইউআইএসসি মোট 264 জন রেজিষ্ট্রেশন করি এর মধ্যে 4 জন লটারীতে বিজয়ী হয়। চূড়ান্ত ভাবে ৩ জন মালয়েশিয়ার যায় দ্বিতীয় পর্বের জন্য চূড়ান্ত হয়েছে। এটা আমাদের একটা সফলতার উদাহারন। ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র আজ জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে মডেল হিসাবে কাজ করছে। আমরা আজ অনেক সফল, সাবলম্বী।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS